শিরোনাম

South east bank ad

গরুর নাম রাজবাড়ীর রাজা-এমন নামে বিবরত রাজবাড়ীর সচেতনমহল

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):

কোরবানীর ঈদ আসলেই হাট বাজারে দেখা মেলে বেস বড় বড় গুরুর।এবার এমন একটি গরুর দেখা মিলেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শণী মেলায়। যার নাম রাখা হয়েছে (রাজবাড়ীর রাজা)। গরুর নাম (রাজবাড়ীর রাজা) এমন নামে রাজবাড়ী সচেতনমহলে বেস আলোচনা সমালচোনার জন্ম দিয়েছে। বিবরত রাজবাড়ীর সচেতনমহল।রাজবাড়ীর রাজার ওজন ৩০মন এমন শিরোনামে বেসকযেকটি পত্রিকায রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

নাম তার রাজবাড়ীর রাজা, বয়স ৪ বছর, ৪ বছর বয়সে তার ওজন প্রায় ৩০ মন বলে দাবি খামারী মালিক মোঃ মোকলেছুর রহমানের। কিন্তু গরুর নাম রাজবাড়ীর রাজা এমন নাম কেন রেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আসলে আমি কোন কিছু ভেবে এই নাম রাখিনি একবছর আগে আমাদের এলাকার পল্লী চিকিৎসক কাইয়ুম ডাক্তার তিনি গরুর গঠন দেখে বলেন যে আপনার গরু তো রাজবাড়ীর মধ্যে সবচে বড় এটা তো রাজবাড়ীর রাজা। সেই থেকেই রাজবাড়ীর রাজা বলেই গরুকে ডাকা হয়। কিন্তু এমন নামে রাজবাড়ীর উপর কেমন প্রভাব পরবে তা ভেবে দেখেনেনি তিনি।

গরুর নাম (রাজবাড়ীর রাজা) এমন নাম সত্যিই বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাহার হোসেন তকদির। তিনি বলেন, গরু হতে পারে বিশাল আকৃতির বা জেলার মধ্যে সবচে বড়। তাই বলে জেলার নামে নামকরণ এটা শোভনীয় নয়। গরুর এমন নামে রাজবাড়ীর জেলার মানুষকে ছোট করা হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

গত শনিবার (০৫ জুন) দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এ প্রাণিসম্পদ প্রদর্শণী মেলায় এ ষাড় গরুটি (রাজবাড়ীর রাজা) প্রদর্শণের জন্য আনা হয়। এ সময় ট্রাকে করে মেলা প্রাঙ্গনে গরুটিকে আনা হয়। দেখাযায় তীব্র গরমে গরুটি হাপাচ্ছে। ফলে গরুর মালিকসহ ৫-৭ জন হাত পাখা দিয়ে গরুটিকে বাতাস করছে। সে সময় অতিথিসহ উপস্থিত জনগণ বিশাল গরুটি দেখতে ভির করেন ট্রাকটির চারপাশে।

এবিষয়ে রাজবাড়ীর সাবেক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসলে গরু কখনো কোন জেলার রাজা হতে পারে না। এটা সত্যি বিভ্রান্তিকর বিষয়, শুনতেও কেমন যেন লাগে। অবশ্য আমি এই সংবাদ টি দেখিনি তবে যদি এমন নাম বা এমন শিরনাম করা হয়ে থাকে, সত্যি তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তবে খামারী যদি তার গরুর নাম সখকরে রাজবাড়ীর রাজা রেখে থাকেন সেটা তার মানসিকতা বা তার একান্ত বিষয়।বিষয় আমাদের সেখানে হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই।

এবিষয়ে এড. মোঃ তসলিম তপন বলেন, গরুর এমন নামকরন অবশ্যই কাম্য নয়, একটা গরু বড় সর আর মোটা তাজা হ‌লেই তা‌কে রাজা বলা বা রাজবাড়ীর রাজা বলা মো‌টেও সমী‌চিন নয়। একটা গরু কে আমা‌দের রাজা ব‌ল্লে দু‌দিনপর একটা মোটাতাজা বড়সর ছাগল‌কেও রাজা বল‌তে হ‌বে, সেটা আমার কাম্য নয়।তিনি আরো বলেন, একটি গুরু কি করে রাজবাড়ীর রাজা হয়?আমরা রাজবাড়ীর মানুষ রাজবাড়ী আমাদের অহংকার।রাজবাড়ীর নামকরন করা হয়েছে রাজার নামে।সেই রাজবাড়ীর রাজাকে নিয়ে এমন মসকরা করা মোটেও ঠিক হয়নি। তিনি বলেন খামারী যদি গরুর নাম রাজবাড়ীর রাজা রেখেও থাকেন সেটা কি ভাবে বিভন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করলো তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন এখন যদি কেউ একটি বিশাল আকৃতির একটি ছাগল নিয়ে এসে বলে এটা জেলার মধ্যে সবচে বড় তাই ওর নাম রাজবাড়ীর রাজা আধো কি মানা সম্ভব এমন বিভ্রান্তিকর নাম? যদি এমনটাই হয় তাহলে দেখা যাবে এর পর থেকে যারযার বড় বড় পশুর নাম রাজবাড়ীর রাজ রাখা শুরু করেছেন।

রাজবাড়ীর রাজা-৩০মন ওজন এমন সিরো নাম দেখে বা গরুর নাম রাজবাড়ীর রাজা রাখা হয়েছে এমন খবর শুনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনাসমালচনা শুরু হয়েছে।

রতন রাজবাড়ী নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বলা হয়েছে মুর্খ পাগল ছাগলেরা আমাদের জেলাকে হাসির খোরাক বানাবে তা হতে পারে না।আর আপনারা এসব প্রচার না করে তাকে বোঝান এটা ঠিক হচ্ছে না। আপনার গরুর নাম অন্য কিছু রাখেন আমরা প্রচার করবো, Soykot Islam Shamim সইকৈত ইসলাম শামিম নামে একজন মন্তব্য করেছেন অন্য জেলার লোক দেখলে ভাববে ,
অতীতে রাজা মনে হয় গরুই ছিল, আসিফ ফয়সাল নামে একজন লিখেছেন, গরু টা আমাদের বাড়ির, কিন্তু এমন নাম করন করা হয়নিতো, রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হবে হয়তো। এই গরুটা আমার চাচাতো ভাই ডাঃ মোখলেছুর রহমান এর, শেখ হারুন নামে একজন লিখেছেন একটা অস্ট্রেলিয়ান গরু রাজবাড়ীর রাজা হয় কিভাবে??

(রাজবাড়ী রাজা) নামকরণ করা গরুর মালিক মোকলেছুর রহমান জানান, তার খামারে প্রায় ৪ বছর ধরে এ ষাড় গরুটি লালন পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে যার ওজন প্রায় ৩০ মন। বিশাল আকৃতির গরু হওয়ায় নাম দিয়েছেন রাজবাড়ীর রাজা। এবং আজ প্রদর্শণে এনেছেন। প্রতিদিন গরুটির পেছনে তার প্রায় ৫শ টাকা খরচ হয়। আগামী কোরবানির ঈদে গরুটি বিক্রির আশা করছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার খামারে আরও বেশ কয়েকটি গরু আছে। তবে সে গুলো ছোট।

দিনব্যাপী প্রদর্শণী মেলায় সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খামারী ও উদ্দ্যোক্তাদের নিয়ে আসা বড় বড় পশু, পাখিসহ বিভিন্ন উন্নতজাতের প্রযুক্তির উপকরণে ৩০টি স্টোল স্থান পায়। প্রদর্শণী শেষে সেরা স্টোল দাতাকে পুরস্কৃত করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. খায়ের উদ্দিন বলেন, বিশাল আকারের এ ষাঁড়টিকে সব সময় নজরদারিতে রাখা হয়েছে। উন্নত জাতের এ গরুটি কালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান ক্রোচ জাতের। প্রাকৃতিক উপায়েই ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন খামারি মালিক মোকলেছুর রহমান।গরুর নাম রাজবাড়ীর রাজা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আসলে গতকাল জখন গরুটি মেলায় আনা হয়েছে তখনো জানতাম না যে এটার নাম রাজবাড়ীর রাজা।আজকে নিউজ দেখে জানতে পারলাম।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: