ডিসেম্বরে হবে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষার কাজ
সুনান বিন মাহাবুব (পটুয়াখালী):
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ঘূর্ণীঝড় ইয়াসে যে সমস্ত এলাকাগুলো খুব খারাপভাবে বিদ্ধস্ত হয়েছে তার মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। কুয়াকাটা রক্ষায় অনেক স্টাডি করে একটি বিশেষ প্রকল্প প্রনয়ণ করা হয়েছে। যেটি অনুমোদনের অপেক্ষায়। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে অনুমোদন পেলে ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শুরু করা হবে। সোমবার (১ জুন) বিকেলে ঘূর্নিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যেসব বেড়িবাঁধগুলো রয়েছে সেগুলো দিয়ে সাধারন জোয়ার ঠেকানো গেলেও বড় ধরনের ঘূর্ণীঝড়কে ঠেকানোর ক্ষমতা নেই। সিআইপি প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী সহ ১০টি পেল্ডারের মেজর রিপেয়ারিং করা হবে। বর্তমানের চেয়ে ৫/৬ ফুট উ”ু এবং দ্বিগুন প্রশস্তের মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকুলীয় এলাকায় ভাঙ্গন প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থায়ী বাঁধ দরকার । বাধ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী একশত বছরের একটি ডেল্টা প্লান গ্রহন করেছেন। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করতে হবে। সমুদ্র উপকুলবর্তী এলাকাগুলোতে কাজ শেষ করতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে।
কুয়াকাটার স্থাণীয়রা জানিয়েছেন, সমুদ্রের কিনারে কাজ করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। কুয়াকাটার ভাঙ্গন রক্ষায় বর্তমানে জিওটিউব ভালো কাজ করছে।