শিরোনাম

South east bank ad

জলাবদ্ধতা আগামীতেও আরও কমে আসবে : ডিএনসিসি

 প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা প্রায় তিন ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হয় রাজধানীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই সময়ে প্রায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর এতেই সকাল থেকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় রাজধানীর ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, মিরপুর, বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমতে দেখা যায়। এছাড়াও অনেক এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি চলে আসে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, আগের থেকে দ্রুতই পানি সরে যাচ্ছে। সকালে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়। ওয়াসার থেকে পাওয়া খালগুলো পরিষ্কার হয়ে গেলে আগামীতে আরও দ্রুত পানি সরে যাবে।

আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে জলাবদ্ধতা অনেক কম এবং আগামীতেও আরও কমে আসবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী বলেন, মেয়র স্যার এই সমস্যা সমাধানে খুবই আন্তরিক। বিগত দুই বছর ধরে সিটি কর্পোরেশন তার নেতৃত্বে জলাবদ্ধতা নিরসনে এমন কাজ করে যাচ্ছে, যা ডিএনসিসির করার কথা না। যেমন কালশতে খাল পরিষ্কার করে ড্রেনের লাইন করা হয়েছে যেন পানি সরে যায়। এখন আর কালশিতে পানি জমে না।
আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১২ নম্বরগামী সড়কের বেহাল দশা এবং সেখানেও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে ডিএনসিসির পদক্ষেপ জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, কোথাও উন্নয়ন হলে তার কিছু অসুবিধা ভোগ করতে হতে পারে। এটা সাময়িক ও অস্থায়ী। মিরপুরের অন্য সড়কগুলো দেখেন, সেগুলো কিন্তু বেশ ভালো। এরপরেও আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার আলাপ করি। তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় আছে। তাদের অনুরোধ করি তারা যেন এমনভাবে কাজ করে যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তারা অনেক সময়েই সেদিকে খেয়াল রাখে কিন্তু কাজের ধরনের কারণে অনেক সময় সেটি সম্ভব হয় না। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে এখানকার অবস্থাও উন্নত হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সকালে বৃষ্টি দেখেই আমাদের প্রকৌশল বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মীদের মাঠে নামানো হয়েছে। তারা কাজ করছে। আর আজ অনেক বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৃষ্টি হলে পানি কিছুটা জমবে। তবে সেই পানি আগের তুলনায় অনেক দ্রুত সরে যাচ্ছে। আমরা গত বছরের একদম শেষ দিনে খালগুলো বুঝে পেয়েছি। সেই সাথে ‘স্টর্ম ওয়ার্টার’ বা বর্ষার পানি বের হয়ে যাওয়ার যে ড্রেন লাইন সেগুলোও বুঝে পেয়েছি। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যেমন খালের যে অবস্থা তার মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বৃষ্টির পানি চলে যাওয়ার উপায় নেই। আবার বর্ষার পানি যে ড্রেনের পথ ধরে খালে যাবে সেটি হয়তো আটকে আছে। এগুলো সংস্কারে আমরা কাজ করছি। যেমন বিভিন্ন খালের মুখ আমরা কেটেছি, সেগুলো পরিষ্কার করছি যেন পানি প্রবাহিত হতে পারে। পুরো কাজ হয়ে গেলে আগামীতে জলাবদ্ধতা আরও কমে আসবে আর যেটুকু পানি জমবে সেগুলোও দ্রুত সরে যাবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: