সরকারি আবাসন-স্থাপনায় মশার বিস্তার রোধে সজাগ থাকতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানালেন মেয়র তাপস
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৭ম বোর্ড সভায় সরকারি আবাসন-স্থাপনায় মশার বিস্তার রোধে সজাগ থাকতে এবং তদারকি কার্যক্রম জোরদার করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সভার শুরুতেই সিটি কর্পোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা সংস্থার যেসব আবাসন, নির্মাণাধীন ভবন এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর রয়েছে, সেসব জায়গাগুলোতে অনেক সময় মশক বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ বিরাজমান থাকে। যেহেতু সে সব জায়গায় আমাদের কর্মীরা নিয়মিতভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না, তাই, সেখানে যাতে মশকের বিস্তার না ঘটে সেবিষয়ে আপনারা সজাগ থাকবেন, তদারকি করবেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
মেয়র তাপস বলেন, বিগত বছরে করপোরেশনের ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে বেশি সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। শুধু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছিল কিন্তু বাকি ১০ মাস মশক পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। আবারও ডেঙ্গুর মৌসুম আসছে। সুতরাং এ ব্যাপারে বিগত বছরের মতো আপনাদের নিবিড় তদারকি ও কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে কথা দিয়েছিলাম আমরা কোনো কর বাড়াবো না এবং আমরা কর বাড়ায়নি। কিন্তু কর না বাড়ায়ে কর আদায়ের ক্ষেত্র বাড়িয়ে তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারলেই আমরা পর্যায়ক্রমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো। আমরা সে পথেই এগিয়ে চলেছি।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পাঁচ তলাবিশিষ্ট নতুন আরও ৪৩টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেসব সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের মধ্যেই আমাদের কাউন্সিলরদের কার্যালয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, ব্যায়ামাগার, পাঠাগার সুবিধা থাকবে। যাতে ঢাকাবাসী একটি কেন্দ্র থেকেই তাদের সেবাগুলো পেতে পারেন।