আনোয়ারার প্রতিটা হাট-বাজার জুড়ে মধুমাসের স্বস্তি তালের শাঁস বেচা-কেনার ধুম
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা):
দেশীয় রসালো ফলের মন মাতানো সৌরভে শুরু হলো জৈষ্ঠ্য। প্রতি বছরই এমন সময় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার জুড়ে ছেয়ে থাকে মধুমাসের স্বস্তি তালের শাঁস। গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মধুমাসের এই ফল। ফলের জন্য বিখ্যাত মধুমাস জৈষ্ঠ্যতে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি তালের কদর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বাঙগি তরমুজের পর ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় এখন ফল এখন তাল। প্রচন্ড গরমে পিপাসাকাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় এই তালশাঁস।তাছাড়া গরমের দিনে এই ফলটির শাঁস বেশ সুস্বাদু হওয়ায় একটু তৃষ্ণা মেটাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ ভিড় করে এই ফলটি কিনতে। অনেকেই রাস্তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে এ ফল খাচ্ছেন। কেউ খুচরো কিনছেন, কেউবা কাঁধি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। একমাত্র তালের এই শাঁসেই ফরমালিনের ছোয়া দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না বিধায় সর্বসাধারণের কাছে এই রসালো ফলটি এই করোনাকলে অনেকটা উপকারি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, রাস্তার মোড়, এলাকার বিভিন্ন দোকানের সামনে তালের ফসরা বসিয়েছে বিক্রেতারা। তাতে ভিড় জমিয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পানি-তাল হিসেবে প্রতিটি তাল ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা এবং ধারালো দা দিয়ে তা কেটে তালের শাঁস বের করে দিচ্ছেন তৃষ্ণার্ত ক্রেতাদের।
উপজেলার তৈলারদ্বীপ নোয়াপাড়া এলাকার রাস্তার পাশে বসে তালের শাঁস বিক্রি করছেন স্থানীয় তাল বিক্রেতা মোহাম্মদ খোকন মিয়া। তিনি জানান, প্রতিটি তালে থেকে তিন থেকে চারটি শাঁস বা বিচি হয়। প্রতি পিস এখন ৭ টাকায় বিক্রি হয়। তলের শাঁস বা বিচি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পানি জাতীয় তুলতুলে নরম ফল হওয়ায় ছোট-বড় সকলে এই ফল পছন্দ করে।
মোহাম্মদ রিদুয়ান নামে এক তালের শাঁস ক্রেতা বলেন,প্রতি বছর জৈষ্ঠ্যমাসে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি কচি তালের জনপ্রিয়তা ও অনেকটা বেড়ে যায়,বিশেষ করে প্রচন্ড গরম পড়লে এই ফলের কদরও বাড়ে। কচি তালের প্রকৃতি অনেকটা নরম ও পানিজাতীয় হওয়ায় এই ফল বেশ সুস্বাদু হয়।
তালের আরেক শাঁস ক্রেতা করিম বলেন, গ্রামঞ্চলে মৌসুমি ফল হিসেবে তালের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।মৌসুমি ফলগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ফরমালিন ব্যবহার করায় ফলগুলো মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।কিন্তু তালে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না।তাই এই ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।