সিগারেট আমদানিতে ১০৫ কোটি টাকা রাজস্ব ‘আত্মসাত’, দুদকের ১১ মামলা

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিথ্যে ঘোষণায় বিদেশি সিগারেট আমদানির পর খালাস করে সরকারের ১০৫ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৩ টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে ১১টি মামলা করেছে দুদক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর কার্যালয়ে এসব মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়। মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সিএন্ডএফ এজেন্টসহ ১১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, দুদক ঢাকা অফিস এসব মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে কমিশনের নির্দেশক্রমে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের চার কর্মকর্তা পৃথক পৃথক বাদী হয়ে ১১টি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত ১ এর সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
একটি মামলায় মিথ্যা ঘোষণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য আমদানি ও খালাস পূর্বক সরকারের ৮ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫০ টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় ৮ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় ৮ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে।
প্রধান কার্যালয়ের মানিল্ডারিং বিভাগের সহকারি পরিচালক বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে একটি মামলায় সরকারের ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ১৮৩ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় আসামি করা হয় ৯ জনকে। অন্য মামলায় ৮ কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার ১১২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলাতেও আসামি করা হয় ৯ জনকে। অপর অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।
একটি মামলায় ৮ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার ৯৭৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৯ জনকে আসামি করা হয়। অন্য মামলায় সরকারের ৮ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৯ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ৯ জনকে আসামি করা হয়। তৃতীয় মামলায় ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন। একটি মামলায় ৮ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় মামলায় ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয় ১১ জনকে। এ মামলায় ৮ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনে দুদক।