ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম
মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ বছরে দুইবার ঈদের নামাজ আদায় করেন। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যান। অনেকেই ঈদের নামাজে কিছু ভুল করে থাকেন।
করোনা মহামারির মধ্যেই আগামীকাল বাংলাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। ঈদগাহে ব্যাপক জনসমাগম করে ঈদের নামাজ না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
তারপরও সীমিত পরিসরে ঈদের নামাজ পড়া হবে। যেহেতু হজের মাসে আত্মত্যাগের এ ঈদ মুসলিম উম্মাহর সব ধরনের পশুত্বকে নির্মূল করে। কুরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি করতে হয়।
ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম:
ঈদের নামাজ ২ রাকাত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং জামায়াতের সাথে আদায় করতে হয়। ঈদের ২ রাকাত নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিতে হয়।
প্রথম রাকাত: আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার ২ রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ইমামে পেছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধবেন।
ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বেন, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন। এরপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু-সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাআত: ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবির প্রথম রাকাআতের মতোই আদায় করবেন। এরপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।
এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে-পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামতেরও প্রয়োজন হয় না।
তবে অনেকেই ঈদের নামাজ আর জানাজা নামাজের মধ্যে একটা ভুল করেন। সেটা হচ্ছে ঈদের নামাজে ৬ তাকবিরে কান বরাবর হাত তুলে ছেড়ে দিতে হয় কিন্তু জানাজা নামাজে একবার তাকবিরে তাহরিমা বলে নিয়ত করার পর আর হাত ছাড়তে হয় না।