বদলে দেয়ার যাত্রা শুরু করেছি : মিজানুর রহমান

'ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বর্তমান পুলিশিং ব্যবস্থা মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া বা জনবিচ্ছিন্ন নয়। সাধারণ মানুষকে ভালোবেসে তাদেরকে পুলিশের কাছাকাছি নিয়ে এসেছি। পৃথিবীতে ভালোবাসার বিকল্প শুধুই ভালোবাসা।' কথাগুলো বলছিলেন অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। বদলে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সঙ্গে পুলিশিং নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ভালোবেসে তাদেরকে কাছে টেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। আমরা বদলে দেয়ার যাত্রা শুরু করেছি মাত্র। আমাদের প্রতি এখন মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে। মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষের খুব কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপরাধ প্রবণতা অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি ছিল। সীমান্ত এলাকার কারণে মাদকের ছড়াছড়িও রয়েছে। জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা অপরাধ ও মাদকের প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে এনেছি।
মাদক নির্মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্পৃক্তা প্রয়োজন। যতক্ষণ মাদকের চাহিদা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত মাদকের সরবরাহ হবে। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের মাঝে নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে ইতিবাচক সাড়া মিলবে। এছাড়া মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে মাদক নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠারও তাগিদ দেন তিনি।
গত ৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার (এসপি) থেকে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান মো. মিজানুর রহমান। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু মানবিক কাজ করে সুনাম কুড়ান তিনি। এর মধ্যে 'অনাথ' হাবিবা আক্তারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তার রাজকীয় বিয়ে দিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হন মিজানুর রহমান।