শিরোনাম

South east bank ad

দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

 প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ও নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- ১। মো. আব্দুল বারেক রানা (৫৫), ২। মো. হিরু মোল্লা (৪০), ৩। মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫), ৪। মো. জাকির হোসেন (৪৮) ও ৫। মো. নজরুল ইসলাম (৪২)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি ছুরি, ১টি চাপাতি, ১টি লোহার পাইপ, আসামীদের ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন, ভিকটিমের ১টি মোবাইল ফোন ও ১টি প্লাস জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ভিকটিম মো. রুস্তম খান (৬৮) গত ২৫/০১/২০২১ইং তারিখে তার কর্মস্থল ফ্ল্যাস ওয়ার্কস ওয়াটার পার্ক লিমিটেড, বাউশিয়া, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার প্রাক্কালে সকাল আনুমানিক ০৮:২০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন বাদশা মিয়া রোডের মাথায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুখে অবস্থানকালে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার তার সামনে এসে দাঁড়ায়। উক্ত প্রাইভেটকার হতে অজ্ঞাতনামা দুইজন লোক নেমে রুস্তমকে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে হাত-পা বেঁধে চোখে কালো চশমা পরিয়ে দেয়। গ্রেফতারকৃতরা রুস্তমকে বেধড়ক পিটিয়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে তার মেয়েকে ফোন করতে বলে। গ্রেফতারকৃতরা রুস্তমের নিকট হতে সর্বমোট ১,০০,০০০/- টাকাসহ তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা ১৫০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বাউশিয়ার একটি নির্জন স্থানে রুস্তমকে ফেলে রেখে চলে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম রুস্তম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা রুজু করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং ঈদের পূর্বে তারা এ ধরনের আরো কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানায়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সিডিএমএস পর্যালোচনা এবং তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা গত কয়েক বছর যাবত এ ধরণের অপরাধ করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ/মুক্তিপণ, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, অস্ত্র, বিষ্ফোরক, মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মো. আব্দুল বারেক রানা, মো. হিরু মোল্লা , মো. নিজাম উদ্দিন, মো. জাকির হোসেন ঘটনায় সরাসরি অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত এবং মো. নজরুল ইসলাম উক্ত ঘটনার লুন্ঠিত মালামাল নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয় করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ পিপিএম এর নিদের্শনায় ও এডিসি জনাব জুনায়েদ আলম সরকার পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার এডিসি জনাব মনিরুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: