শিরোনাম

South east bank ad

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনে চারজন বহিষ্কার

 প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শিক্ষাঙ্গন

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনে চারজন বহিষ্কার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদকে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী। এছাড়াও বাকি যারা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন সতর্কীকরণ ও হলের আসন বাতিল করা হয়।

সোমবার বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত থেকে জানা গেছে, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল হক হিমেল, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নাঈম আব্দুল্লাহ (যাযাবর নাঈম), লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মোমেন সরকার, একই বিভাগের তানভির আহমেদ তুহিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের স্ব-স্ব হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও বাকি ৭ জনকে বিভিন্ন সতর্কীকরণ ও হলের আসন বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের আবু সোলায়মান নাঈম এর বিষয়ে সতর্কীকরণ পত্র ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পাশাপাশি সারজীল হাসান (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগ), মো. পলাশ (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ), জোবায়ের আহমেদ সাব্বির (ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সায়েন্স বিভাগ) এই তিনজন শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ পত্র ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে।

মো. ছনিক মিয়া (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ), মো. মোজাহিদ হোসেন সজিব (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ), মো. সৌরভ হোসেন (পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ) এই তিনজন শিক্ষার্থী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নং কক্ষের বরাদ্দকৃত আসন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশপত্রে আরো বলা হয়, উপরোক্ত সব শিক্ষার্থীর নামে পত্র ইস্যু করা হবে এবং সেই পত্রের কপি সরাসরি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তাদের অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানোর সুপারিশ করা হবে।

এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এরূপ কার্যকলাপে যুক্ত হলে এবং গৃহীত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বিকেল তিনটায় শুরু হয়ে শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষ হয় রাত ১০ টায়। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

সভা শেষে উপাচার্য বলেন, তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা কোনো দল বিবেচনা করিনি, আমরা ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনত তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিহাদকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই মারধরের অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে ১৫ জন মিলে ঘটায় এ ঘটনা।

BBS cable ad

শিক্ষাঙ্গন এর আরও খবর: