শিরোনাম

South east bank ad

সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
কী কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো সম্ভব নয় সে বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে বিএনপির মোশাররফ হোসেনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা জানান।
আজ মঙ্গলবারের প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শরমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও এখন উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার ফলে এখন শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়লে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স এখন ৩০ বছরের বেশি তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ এর কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এর কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ার কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে, করোনা পরিস্থিতির জন্য বিসিএস বাদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিভাগ ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: