মহানগরীর ৮৪ কেন্দ্রে শনি ও সোমবার দেয়া হবে গণটিকা
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে আবারো গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় শনিবার (১৪ আগস্ট) ও সোমবার (১৬ আগস্ট) ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪ টি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধন করা ৩০০ জনকে মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। আপাতত এই দুইদিন গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তীতে আবারও এসব কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
এছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (স্থান: টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) কেন্দ্র, পুলিশ হাসপাতাল ও আইডি হাসপাতাল কেন্দ্রে এসএমএস প্রাপ্তরা শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন। গণটিকাদান কর্মসূচি সফল করতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, গণটিকাদান ক্যাম্পেইনে ৭ ও ৮ আগস্ট দুইদিনে ৭৮ হাজার ৮৭৩ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। টিকার মজুদ শেষ হওয়ায় ৯ আগস্ট থেকে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়। নগরবাসীর চাহিদা বিবেচনায় মেয়র মহোদয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে মর্ডানা টিকা প্রদানের অনুরোধ জানান। মেয়র মহোদয়ের অনুরোধে নতুন করে ৬০ হাজার ৪৮০ ডোজ মর্ডানার ১ম ডোজ টিকা আমরা পেয়েছি। তিনি আরো জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৭ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ জনকে মর্ডানার দি¦তীয় ডোজ টিকা, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ মোট এক লাখ ২ হাজার ৫৬২ জনকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ৬ হাজার ৯৬৫ জনকে সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হয়েছে। আর টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন মোট ২ লাখ ৮০ হাজার ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ৭ আগস্ট ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ৭ আগস্ট ৩৪ হাজার ৩৮৫ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে ৮৪টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ২৫৬জনকে প্রথম ডোজ মর্ডানার টিকা দেওয়া হয়। ৮ আগস্ট ২য় দিন ৪৪ হাজার ৪৮৮জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৬৬৪জনকে প্রথম ডোজ মর্ডানার টিকা প্রদান করা হয়। নগরীতে ৭ ও ৮ আগস্ট দুইদিনে ৭৮ হাজার ৮৭৩জনকে টিকা প্রদান করা হয়। এরপর টিকার মজুদ না থাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।